সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাংচুর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় জড়িত ৪৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার সুনামগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের স্থানীয় ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজত ইসলামের বিতর্কিত নেতা মাও. মামুনুল হককে সমালোচনা করে গত বছরের ১৬ মার্চ ফেসবুকে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় দলটির সমর্থকরা পরদিন নোয়াগাঁও গ্রামের সংখ্যালঘুদের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। এ সময় গ্রামের ৫ টি মন্দিরও ভাংচুর করা হয় । এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তিন মামলায় গ্রেপ্তার ও আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হওয়াসহ ১১৩ জন আইনের আওতায় এসেছেন। হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের মামলার আসামি ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন।
সম্প্রতি এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. তোফাজ্জল হোসেন এজাহার নামীয় আসামি ছাড়া আরও ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার এই আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জামিন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহিম ৪৯ জনকেই জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর সাইফুল আলম জানান, ৪৯ আসামিই আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।