শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে রায়পুরা পৌরসভার নির্বাচন। আসছে ২৬ ডিসেম্বর প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে রায়পুরা পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকার অলিগলি।
মাইকেও প্রার্থীদের প্রচার চলছে সমানতালে। প্রার্থীরা পৌরসভার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। প্রত্যেক প্রার্থীই নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তবে ভোটাররা বলছেন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন তারা। নির্বাচন এলে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, তার বাস্তবায়ন চান পৌরবাসী।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা পৌরসভায় ৯ টি ওয়ার্ডে ১৫ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এ বছর মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত মোঃ মাহবুব আলম শাহীন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র জামাল মোল্লা (মোবাইল), সাবেক মেয়র আবদুল কুদ্দুস (নারিকেল গাছ), বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (জগ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শামিম মোল্লা (হাত পাখা) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ মাহবুব আলম শাহীন বলেন, দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকরা তার পক্ষে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী বলে জানান।
বতর্মান মেয়র জামাল মোল্লা বলেন, আমি জনগণের সেবক হয়ে সুনামের সাথে পৌরসভা পরিচালনা করেছি। আশা করছি জনগণের ভালোবাসা পেয়ে ভোটের মাধ্যমে পূণরায় মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হবো।
সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি জনগণকে সাথে নিয়ে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, পৌরসভার ভোটাররা আমার পক্ষে রয়েছেন। তারা আমার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সুষ্ঠ ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
ইসলামী আন্দোলন সমর্থক প্রার্থী শামিম মোল্লা বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। আমার বিশ^াস ভোটাররা আমাকে নিরাশ করবেন না।
এদিকে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। চায়ের দোকান ও রাস্তাঘাটে সর্বত্র লোকজনের আলোচনার একমাত্র বিষয় নির্বাচন। অন্যান্য নির্বাচনের মতো প্রার্থীরা এবার উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিতেই খুশি নন। পৌরসভার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চান ভোটাররা।
এদিকে স্বানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস।
নরসিংদী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর রায়পুরা পৌরসভায় প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রায়পুরা পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছে ২৭ হাজার ৩২ জন।