মহান জাতীয় সংসদের এলডি হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক সমাজ সেবায় ইতিহাসের মহানায়ক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা, গুনীজন সংবর্ধনা, শিশু -কিশোরদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে চিকিৎসা সেবায় শেখ রাসেল স্মৃতি সম্মাননা পদক পেলেন রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউপির ক্যাম্পেরহাট গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. অসিত মজুমদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। উদ্বোধক মঞ্চ সারথী, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীয় সদস্য আতাউর রহমান।
বিশেষ অতিথি মোঃ আসলাম হোসেন সওদাগর এমপি, শামসুন নাহার ভূঁইয়া সংরক্ষিত মহিলা এমপি, সালাহউদ্দিন বাদল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কার্যকরি সদস্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগ,ডা. হেলাল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, গোলাম সারোয়ার কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগ, মোঃ আলীম উদ্দীন, শিল্পপতি, সমাজ সেবক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ম্যাবকো ল্যাবরেটরিজ, আতাউর রহমান খোকন, শিল্পপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ, মোঃ ফারুকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ও চেয়ারম্যান, ইউনিসাইন মেডিপ্লাস লিমিটেড।
যারা পুরস্কার পেলেন চিত্রনায়ক ওমনসানী, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী কোনাল, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কানন বালা সরকার, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেলাল খান, চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক শিকদার, নাট্যকার মাসুদ আলী খান, ড. আমিনুর রহমান সুলতান, চিত্রনায়ক নীরব হোসেন কবি সুজয় পাল, ড. আদনান নূর, এহসান কবির, সৈয়দ মুত্তাকীম আলী, ডলি মোশাররফ অধ্যাপক এ কে এম হুমায়ুন কবির, এম নাদিম মাহমুদ, বিএম সুবীর, মুজাহিদ আলী, কাজী রাকীব হোসেন, শেখ সোহেল রানা
বঙ্গবন্ধুর সহচর, প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এবং খুব কাছের মানুষ ৮১ বছরের তরুণ আতাউর রহমান বলেন আজ যারা গুণীজন সম্মাননা পদক পেলেন তাঁরা যেন ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করেন পদক প্রাপ্তি দায়িত্বটা বাড়িয়ে দেয়।
রায়পুরের কৃতি সন্তান ডাঃ অসিত মজুমদার তিনি একাধারে একজন চিকিৎসক, দক্ষ সংগঠক ও উদ্যোক্তা, কবি ও লেখক,শিক্ষা গবেষক ও সমাজসেবক।বর্তমানে কাজ করছেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিকস কেয়ার, মেডিনোভা মালিবাগ ও গ্রীণরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা তিনি মূল উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার এ আছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এণ্ড সার্জন্স হতে এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করে বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে চার বৎসর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং তৎপরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বৎসরব্যাপী এফসিপিএস কোর্স সমাপ্ত করেন। বারডেম এবং ইউকে যৌথ কোলাবরেশনে সার্টিফিকেট কোর্স অন ডায়াবেটোলজি সম্পন্ন করেন। পিএইচডি গবেষক; ডেনমার্কের ডেনমার্ক ইউনিভারসিটির অধীনে স্টেনো এডভান্সড কোর্স ইন ডায়াবেটিস কোর্স সম্পন্ন করেন।পরবর্তীকালে আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন হতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ইন ডায়াবেটিস কোর্স করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, ঢাকায় ফ্যাকাল্টি হিসেবে এবং বিআইএইচএস হাসপাতাল, ঢাকায় সিনিয়র মেডিকেল অফিসার হিসেবে চিকিৎসক ছিলেন। তিনি প্রায় দেড়যুগ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ঢাকায় কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ঢাকায় ইউএসএইড এর প্রজেক্টে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর মেটারনাল এণ্ড নিওনেটাল হেলথ এ রুরাল হেলথ ডেভেলাপমেন্ট, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও হেলথ পলিসি নিয়ে। ঢাকার ফার্মগেট আলরাজী হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী, ক্যান্সার, লিভার, নিউরোলজি, কিডনী, ইএনটি, অর্থোপেডিক্স, হরমোন বিভাগে তাঁর কাজের বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়াও ঢাকায় কিডনী হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।
শেখ রাসেল পদক প্রাপ্তিতে তিনি প্রতিবেদককে জানান, প্রতিটি সন্মাননা এক একটি ভালো কাজের উৎসাহ। সবসময়ই মানব সেবা করে এসেছি। এত বড় পদক প্রাপ্তিতে সমাজে ভালো কাজে অবদান রাখার মতো দায়িত্ত্ব বেড়ে গিয়েছে আরো বেশী।