রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সামলাতে যতটুকু দরকার, সেই অনুযায়ী সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারসেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার সাজ্জাত আলী। সেটি না করলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি প্রত্যাশা করছেন, আজকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভালো সমাধান হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছে বলে দাবি করেছেন শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
এর আগে, নীলক্ষেত মোড়ে রোববার রাতভর সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।
সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ঢাবির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ এবং কয়েকজন শিক্ষক তাদের অপমান করেন। কথা না বলেই তাদের বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাবির সহ-উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান তারা। মিছিলটি নীলক্ষেত মোড়ে পৌঁছালে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দুপক্ষের উত্তেজনা, যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, আজ বিকেল ৪টার মধ্যে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ ও নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পদত্যাগসহ দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বায়ান্ন/এমএমএল/পিএইচ