সেন্টমার্টিন থেকে প্রায় ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর কক্সবাজারে ফিরেছে পর্যটকবাহী জাহাজ বে ওয়ানের যাত্রীরা। এ সময় জাহাজটিতে ১ হাজার ৩০০ পর্যটক ছিল। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের বি আই ডব্লিউ টি এ ঘাটে পৌঁছে বে ওয়ান জাহাজটি। এর আগে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জাহাজটি রাত ৯টার দিকে গভীর সমুদ্রে আটকে যায়।
এদিকে ট্যুর অপারেটর জসিম উদ্দিন শুভ প্রশাসনের হেল্প চেয়ে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের বাঁচান। একদিকে জাহাজে পথে পথে হয়রানি অন্য দিকে বাস মিস করাই মধ্যবিত্ত পরিবারদের কান্না দেখে নিজের চোখের পানি চলে আসে। তারমধ্যে অফিস থেকে বস দিচ্ছে বকা যেমনি হোক চাকরি বাঁচাতে আগামী কালকে সকাল দশটার মধ্যে অফিসে হাজির হতে হবে। কিন্তু আমরা এখনও সাগরে ভাসতেছি। দেখার কেউ নাই। নাই কোনো খাবার। দোকানপাট বন্ধ। কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও বার আউলিয়া নাম দিয়ে বুকিং নিয়ে দুই শিপের যাত্রী এক শিপ করে অর্থাৎ বে ওয়ান শিপে করে কয়েকদিন ধরে বে ওয়ানকে হাইলাইট করতে যাওয়া আসা শুরু করছে। কোম্পানি তারই ধারাবাহিকতায় কবলে পড়ে ভ্রমণে আসা আজ প্রায় ২ হাজার পর্যটকের বাস মিস হয়েছে। এর দায়ভার কে নেবে, কেউ কি বলতে পারবেন?’
ফেরত আসা পর্যটকরা জানান, শিশু ও বয়স্ক মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। অনেকে বসার জায়গা না পাওয়ায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সমুদ্র যাত্রা করেছেন। এ বিষয়ে কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জানান, ‘জোয়ার ভাটা জনিত কারণে কক্সবাজার থেকে বারো আউলিয়া জাহাজে করে গভীর সমুদ্র থেকে কক্সবাজার ঘাটে যাত্রীদের ফেরত আনতে সময় লেগেছে। এতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলেই লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। জাহাজে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট ছিল। তবে এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা তবে দুর্ঘটনা নয়। সব যাত্রী নিরাপদে ফিরেছে।