সিলেট নগরকে নিয়ে বেকুল হয়ে হয়ে উঠেছিল মন। চিরচেনা এই নগরটিকে অভিভাবকহীন মনে হয়েছিল। লুটেরা চক্র উন্নয়নের নামে চালিয়েছে লুটপাট। এ নিয়ে কেউ কথা বলার হিম্মত রাখেনি। লুটেরা চক্রের দাপটে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল প্রতিবাদীদের কন্ঠ। প্রতিবাদ করে দলীয়ভাবে কোণঠাসা হয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ হয়েছেন গায়েবি মামলার আসামি। আগ্রাসী পরিস্থিতির কারণে মুখ বুঝে সহ্য করেছেন অনেকেই। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। বিশ^াস নিয়ে অনেকেই দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অপেক্ষা করছিলেন। বিশ^াস এখন পরিণত হয়েছে বাস্তবে। কেটে যাচ্ছে অন্ধকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার এক কর্মী শুরু করেছেন বাঘের গর্জন। হুংকার দিচ্ছেন সকল অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে। হুংকারে তটস্থ হয়ে উঠেছে লুটেরা চক্র। জননেত্রী শেখ হাসিনার ওই কর্মী কোনোভাবেই হুংকার থামাচ্ছেন না। তিনি সিলেটবাসীর মনের কথা জানার চেষ্টা করছেন। নগরবাসী কি চান তাও তিনি বুঝতে পারছেন। নগরবাসীকে আশ^স্ত করছেন তাঁদের স্বপ্ন পূরণে জীবনবাজী রাখবেন। লুটেরা চক্রকে কোনোভাবেই ছাড় দেবেন না। নগরবাসীও অনেক স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ওই নেতাকে নিয়ে।
তিনি হলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মাঝি।
২-৩ মাস হয় তিনি অবস্থান নেন সিলেট নগরবাসীর পাশে। প্রতিদিনই সকাল ১০ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলেন নগরীর আনাচে কানাচে। ধরাবাকিভাবে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এসব সভা থেকে তিনি সাধারণ মানুষের মনের কথা জানান চেষ্টা করেন। তিনিও জানিয়ে দেন তাঁর স্বপ্নের কথা। আধ্যাত্মিক এই নগরীকে স্মার্ট নগরী করতে চান। স্মার্ট নগরী করতে যা যা করার প্রয়োজন তার সবই করবেন বলে আন্তরিক প্রতিশ্রæতি দেন। ক্লান্তিহীন ছুটে চলা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রতিশ্রæতিতে সাধারণ মানুষও আশ^স্ত হচ্ছেন। মাঠে ময়দানে চষে বেড়ানো আনোয়ারুজ্জামানের নখদর্পনে এখন সিলেট নগরীর সমস্যা ও সম্ভাবনা। অন্যায় আর অনিয়মের অনেক অনেক আলামত জড়ো হয়েছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হাতে। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে ওইসব অন্যায় আর অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া শতশত কোটি টাকা উন্নয়নের নামে লোপাট হয়েছে-এ বিষয়টি পরিস্কার হয়ে উঠেছে। সিংহ পুরুষের চরিত্রে অবতীর্ণ হওয়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ইতোমধ্যে দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের বরাদ্দ দেয়া টাকার পাই পাই করে হিসেব নিবেন। নগরবাসীকে মূল্যায়ন করতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এখন দু:সাহসী হয়ে উঠেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই দু:সাহসের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে নগরজুড়ে।
সকলের জানা সিলেটের মাটি অত্যন্ত গরম। এই মাটিতে অন্যায় করে কেউ রক্ষা পান না। ওই ধরণের নজির রয়েছে ভুরি ভুরি। সেই মাটিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দ দেয়া অর্থ দিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন বিএনপি নেতা। ওই টাকা ব্যবহার করে অসহায় মানুষের উপর চালানো হয়েছে নির্যাতন। গরম মাটিতে অপকর্ম করার ফসল ভোগ করার সময় আর বেশি দূরে নয়। আলামত বলে দিচ্ছে অপকর্মকারীদের পতন বেশি দূরে নয়। বিচার হবে অচিরেই।