সিলেটের সুরমা নদী থেকে অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেহ নগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ১ আগস্ট উপজেলার বাসিয়া নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল লাশ উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি অন্য কোথাও থেকে ভেসে এসেছে। কারণ, মৃত ব্যক্তিকে স্থানীয় কেউ চিনতে পারেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে সাবেহনগর এলাকায় সুরমা নদীতে একটি লাশ ভেসে যেতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির মুখে দাড়ি, পরনে কালো রঙের প্যান্ট ও চেক শার্ট আছে। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পানিতে বেশ কয়েক দিন লাশটি থাকায় ফুলে গেছে। লাশটি উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী আতাউর রহমান বলেন, লাশটি প্রায় ১৫ দিন ধরে পানিতে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করার উপায় নেই। এর আগে উদ্ধার করা লাশটির অবস্থাও একই ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে আগের লাশটির কোনো স্বজন পাওয়া না যাওয়ায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সংগঠনকে দাফন করতে দেওয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এর আগের ঘটনাতেও মামলা হয়েছিল। অজ্ঞাতপরিচয় লাশটি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কোনো স্বজন পাওয়া না গেলে এই লাশও আঞ্জুমানে হস্তান্তর করা হবে।