যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ১৩৬ বাংলাদেশি। সোমবার (৮ মে) বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট তাদের নিয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে রোববার দিবাগত রাত ১টায় বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি এসব বাংলাদেশিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।
এর আগে পোর্ট সুদান থেকে প্রথম দফায় ৭০ বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইট রোববার দুপুরে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় বিকালে সৌদি এয়ারফোর্সের আরেকটি বিশেষ ফ্লাইট ৬৬ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে জেদ্দায় পৌঁছায়।
গত ৩ মে সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ৬৭৫ বাংলাদেশিকে নিরাপদে পোর্ট সুদানে নেওয়া হয়। দুই দফায় মোট ১৩টি বাসে করে তাদের সেখানে নেওয়া হয়। সুদান থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাভেল পারমিট ইস্যু ও জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হওয়ায় পোর্ট সুদান থেকে বাংলাদেশিদের জেদ্দায় নিতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে বাকিদেরও দেশে ফেরানোর প্রচেষ্ঠা চলমান আছে।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সুদানে প্রায় এক হাজার পাঁচশ বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। এদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের শুরুর দিকে গত ১৫ এপ্রিল দেশটির রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের বাসা আক্রান্ত হয়। রাষ্ট্রদূতের বাসার দেওয়াল ও জানালা ভেদ করে ঢুকে পড়ে মেশিনগানের গুলি। এরপর গত ২২ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের জানালা ও দেওয়াল ভেদ করে মেশিনগানের গুলি ঢুকে পড়ে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোক প্রাণ হারানোর কথা বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।