ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পুনরুজ্জীবনে অভিযোগ নিরসনের উপায় হলো: আইন উপদেষ্টা

সালেহ্ বিপ্লব, ঢাকা | প্রকাশের সময় : রবিবার ২০ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:১২:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের সামনে এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের উদ্বেগ উপস্থাপনের একটি ফোরাম রয়েছে, যা একটি ইতিবাচক উন্নয়ন। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে এমন কয়েকজন বিচারপতি রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন অংশের অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাদের কেউ কেউ পতিত অত্যাচারী শাসনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিলেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, অনেকে ক্ষুব্ধ। এখন কাউন্সিলের মাধ্যমে এসব অভিযোগের সমাধানের সাংবিধানিক উপায় রয়েছে।’

বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে বিচারকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফোরাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পুনরায় সচল করা হয়েছে। এ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি থাকলেও আদালতের রায়ে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন কাউন্সিল পুরোদমে চালু করা যাবে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, উচ্চ বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে।

রোববার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সংবিধানের এ-সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ পুরোটাই পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধানের অধীনে গঠিত কাউন্সিলে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরা রয়েছেন। ‘যদি আজ একটি অভিযোগ দায়ের হয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়া শুরু হবে। আলাদা করে নোটিফিকেশনের দরকার নেই; এটা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে।’

তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন নিষ্ক্রিয় ছিল, তখন উচ্চ বিচার বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করার কোনো ফোরাম ছিল না। সে সময় আদালত প্রশাসনেরও এ ধরনের জবাবদিহি নিশ্চিত করার সদিচ্ছার অভাব ছিল, কারণ তারা অন্যদের নির্দেশে রায় দিচ্ছিলেন।’

বায়ান্ন/সালেহ্