বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা।মহিনন্দ ইউনিয়নের গাংগাইল হাজরাদী গ্রামে নিজের দোকানে বসে বস্তা সেলাই করছেন পারভেজ।এভাবেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বস্তা সেলাই করে তা বিক্রি করে চলছে তার সংসার। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বস্তা সেলাই করেন তিনি।
যত হাত চালাতে পারবেন তার উপার্জন তত বেশি।জানা যায়,বিভিন্ন পণ্য রাখার গুদামে প্রয়োজন হয় অনেক বস্তার।এছাড়া ধানের আড়তেও সরবরাহ করা হয় হাতে সেলাই এসব বস্তা। বেশি ছেঁড়াফাটা বস্তা সেলাইয়ে শ্রমিকেরা মজুরি নেন ১০টাকা, অল্প ছেঁড়াফাটা বস্তা সেলাইয়ে দেড় থেকে ৬ টাকা মজুরি নেন তারা। সারাদিন কাজ শেষে এসব বস্তা সেলাইয়ে শ্রমিকরা পান ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে যাদের হাত ভাল চলে তারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকাও উপার্জন করেন।
সেলাই করা এসব বস্তা বিভিন্ন ধানের আড়তসহ আমদানি-রপ্তানি কারকদের নিকট সরবরাহ করেন বস্তা ব্যবসায়ীরা। বস্তা ব্যাবসায়ী মো:পারভেজ বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে বস্তার ব্যাবসা করছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করি, তাতে যে উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসারে বাবা-মা ও সন্তানদের নিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ভালো আছি।