সৈয়দপুরে পিডিবির নিলামের কাগজে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত মালামাল দিলেন ডেলিভারী টীম, এই দূর্নীতির দায়ভার নেবে কে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব দপ্তর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর মেঘা প্রকল্প এর কাজ চলছে। ও সৈয়দপুরের পুরাতন ১৫ মেগাওয়াট প্লান্টে উক্ত প্লান্টের অকেজো মালামাল ও বিল্ডিং ভাঙ্গা স্ক্রাপ ছয় সদস্য বিশিষ্ট বুক ভেলু নির্ধারন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উক্ত মালামাল নিলামে বিক্রয় করে। উক্ত নিলামের নিলাম গৃহীতা সেনা কল্যান সংস্থা। উক্ত সংস্থার কাছ থেকে দ্বীতিয়বার কিনে নেন পার্বতীপুর বিলাইচন্ডী নিবাসী ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী আমিন। যিনি বিএনপির দূর্নীতিবাজ পিএসসির সাবেক সদস্য প্রফেসর মাহফুজুর রহমানের নিকট আত্মীয় এবং তার সঙ্গে রয়েছে মঈনউদ্দিন নামে একজন প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী।
গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ঢাকা থেকে মাল ডেলিভারী টীমের তিনজন সদস্য ও রংপুরের দুইজন ও সৈয়দপুরের দুইজন প্রকৌশলী গোলাম মোরছালিন ব্যবস্থাপক ২০মেগাওয়াট যিনি এই কমিটির সদস্য সচিব এবং তার সাথে রয়েছেন অমৃত্য বাবু, নির্বাহী প্রকৌশলী ১৫০মেগাওয়াট। ১৪ডিসেম্বর মালামাল ডেলিভারী শুরু করেন, ১৪ ডিসেম্বর এর পূর্বে ১৩ডিসেম্বর মালামালের লিষ্ট মোতাবেক ১৪০০ পিস পুরাতন টিন ও ৬০০ পিস টুকুরা টিন ও এক ট্রাক১৫টন মালামাল ১৩ তারিখেই সদস্য সচিব মোরছালিন গেট পাস দিয়ে মাল বাইরে পাঠিয়ে দেন। ১৪ তারিখে নিলাম মালামালের তালিকা ঠিকাদার কাজী আমিনের কাছে চাইলে তিনি তা স্থানীয় সাংবাদিকদের দেখাতে অস্বীকৃত জ্ঞপন করেন এখানেই সন্দেহের দানা বাধে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদ্বীর করে গোপন মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিক মালামালের তালিকা ও মালের পরিমাপ সংগ্রহ করে।
উক্ত তালিকায় দেখা যায় ইট, কাঠ, ঢেউ টিন, পুরাতন ব্যাটারী বাদে লৌহজাত মালের পরিমান বিভিন্ন পদ অনুযায়ী ওজন ৩৪ টন। উক্ত ৩৪ টন মাল পরিবহনের জন্য তিনটি ট্রাকই যথেষ্ট কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে কমিটিকে ম্যানেজ করে কাজী আমিন ৫টি ট্রাক ভিতরে ঢুকান এবং ওজন ছাড়াই মালামাল গাড়িতে লোড হচ্ছে, স্থানীয় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে বিকাল নাগাদ লোডিং পয়েন্টে দৈনিক দাবানলের সাংবাদিক ৪টি গাড়ির মালামাল চ্যালেঞ্জ করে ঢাকা ডেলিভারী টিম সদস্য ডিডি সিকিউরিটি ইনচার্জ মাসুদুজ্জামানকে অভিযোগ দিলে তিনি সকল গাড়ির মালামাল বাইরে নিয়ে গিয়ে ডিজিটাল স্কেলে মাপার সুপারিশ করেন এবং তিনি বলেন গাড়ি স্কেল ছাড়া মাল দিলে আমি কোন কাগজে স্বাক্ষর করবো না। রাত ৮টার দিকে উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানীয় ইউনিক অটো রাইস মিলের স্কেলে তিনটি গাড়ি ওজন করানো হয়। তাতেই দেখা যায় ৪৫ টন মালামাল এবং অপর একটি খালি ও একটি গাড়ি লোডিং অবস্থায় ভিতরেই রয়ে যায়। কাগজ অনুযায়ী মালের পরিমান বেশী হওয়ায় ২টি ট্রাক র্সরকারী পয়েন্টে আনলোড করার নির্দেশ দেন ঢাকার টিম। পরেরদিনে তারা ঢাকা চলে যায় হিসাব অনুযায়ী কাজি আমিন ১১ টন মাল বেশী নিয়ে যায়।
সাংবাদিকের কারনে মাল চুরি করতে না পেরে পুনরায় তদবীর শুরু করে গত ৩ জানুয়ারী ঢাকা থেকে আবার ডেলিভারী টিম নিয়ে আসে ডাম্পিংকৃত মালামাল আবার চুরি করার জন্য। কিন্তু সকলে রাজি হলেও কোন একজন রাজি হয়নি তিনি বলেছে কাগজ অনুযায়ী তিনি আর কোন লৌহজাত দ্রব্য পাবেন না। তার প্রাপ্য রয়েছে ১৮হাজার ইট ও মাঠে অবস্থিত ভবনের পুরাতন কংক্রিট ৬০ টন যা তাকে অপসারণ করতে হবে। উক্ত কাজি আমীন ও তার ঢাকার মহাজন জোর তদবীর করে ৩ তারিখ রাতের আধারে পিডিবি হতে আবারো ৩টন ফিল্টার ও ২টন ওজনের একটি ৫০০কেভি ট্রান্সমিটার ও ১০০পিস ড্রাম নিয়ে যায়। ট্রান্সমিটার বাইর করার সময় গাড়ি আটকিয়ে মালের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা ব্যার্থ হন। সর্বসাকুল্যে কাজি আমীন ৩৪ টনের যায়গায় ৫২ টন মালামাল নিয়ে যায়। সরকারের কেপিআই জায়গায় সহজে সাংবাদিক ও জনগনের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত সরকারী মালামাল লোপাট করলো ডেলিভারী টিম। এই দূর্নীতির দায়ভার নেবে কে?