জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নাওডুবা গ্রামে প্রেমঘটিত কারণে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সেই সঙ্গে ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।রোববার (১১ জুন) জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক মোঃ আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপতির আইনজীবী এডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার নাওডুবা গ্রামের মুর্শিদ উদ্দিনের মেয়ে নাসিমা বেগম এর প্রেমের সম্পর্ক ছিল আব্দুর রাজ্জাকের। এরই জেরে ২০০০ সালের ১৪ জুন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নাছির উদ্দিনের বাড়িতে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে যায়।
এরপর নছির উদ্দিন তার দলবল নিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের হাত-পা বেঁধে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হয় তাদের কাছে খাবার পানি চাইলে তারা পানির সাথে বিষ মিশিয়ে পান করতে দেয়। পানি পান করার পর আব্দুর রাজ্জাক ছটফট করতে থাকে।
এসময় নছির উদ্দিন ও তার লোকজন ভোর বেলায় আব্দুর রাজ্জাককে তার বাড়ির সামনে রেখে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাককে তার পরিবার প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শেষে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১৫ জুন কালাই থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালের ২৮ জুন নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ৮ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এ রায় রাষ্ট্রপক্ষ অসন্তোষ। বাদীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।