‘মা-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও, বিদায়’ চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন দীপ্ত দাস (২২) নামে এক যুবক। তিনি হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়াবাজার এলাকার এসডি প্লাজার কর্মচারী এবং জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাল্লা জগন্নাথপুর গ্রামের জিতেন দাসের ছেলে।
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ জানান, দীপ্ত দাস নামে ওই দোকান কর্মচারী পুরান মুন্সেফী এলাকার একটি বাসায় আরো কয়েকজন যুবক মিলে মেস নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সকলের অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
তিনি আরও জানান, দীপ্ত দাসের মরদেহের পাশ থেকে ‘মা-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও, বিদায়’ লিখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ৩ সহকর্মীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণা জানা যাবে।
দীপ্ত দাস যে বাসায় থাকতেন, সেটির মালিক সরোয়ার হোসেন জানান, দীপ্ত দাসসহ ৪ যুবক তার বাসায় ভাড়া থাকতেন। রাতে হঠাৎ করে তার এক সহকর্মী চিৎকার করে ওঠেন। পরে সবাই গিয়ে দীপ্তের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তার সহকর্মীরাও বলতে পারছে না।