তীব্র গরমে সুনামগঞ্জের ৩ উপজেলার ৩ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের তিনজনকেই স্বজনরা ছাতকের কৈতক হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তারা মারা যান।
চিকিৎসকরা বলছেন- প্রচণ্ড গরমে তাদের কার্ডিয়াক এ্যাটাক বা ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে। বুধবার (১০ মে) দিনের পৃথক সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ছাতক উপজেলার সাদারাই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মনজুর রহমান (৪০), শান্তিগঞ্জ উপজেলা দুর্গাপুর গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৬০) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের জলসী গ্রামের আজির উদ্দিন (৬৫)।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কৈতক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আইনুন্নাহার শান্তা।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, তারা তিনজনই কৃষক-কৃষাণী। প্রচন্ড রোদ্রের মধ্যেই তারা নিজ নিজ কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। দুপুর ও এর পরে পৃথক সময়ে তারা তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে স্বজনরা পার্শ্ববর্তী ছাতকের কৈতক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে বিকেলের মধ্যে তিনজনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
নিহতদের স্বজনরা জানান- প্রচন্ড গরমে কাজ করা অবস্থায় কেউ জমিতে ধান কাটা অবস্থায় এবং কেউ ধান শুকানোর অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে যান। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কৈতক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজীব চক্রবর্তী জানান, আমরা ধারণা করছি- তীব্র গরমে তাদের কার্ডিয়াক এ্যাটাক বা ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত হলে বিস্তারিত জানা যেতো। ময়না তদন্ত করাতে নিহতদের স্বজন সম্মত নন।
এদিকে কৈতক হাসপাতাল সূত্র জানায়- গরমের কারণে বুধবার সারা দিনে হাসপাতালটিতে স্কুলের ছাত্রী ও কৃষকসহ অন্তত ১৫ জন অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন।