ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

হৃদয়ের কথা কবিতার ভাষায়

আবদুর রহমান জামী | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ ১১:৩০:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

‘মানুষ’ শব্দটি শুনলেই প্রথমে নিজের ভেতরের গ্রন্থের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।কিন্তু বইটি মোটেও তেমন নয়।

কালো রঙের প্রচ্ছদ দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ভেতরে সাদা কাগজের কালো রঙের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে অক্ষর।

প্রথম ফ্ল্যাপে লেখক নিজের একান্ত কিছু কথা বলেছেন পাঠকের সাথে।

দ্বীতিয় ফ্ল্যাপে লেখকের ছোট্ট বাঁধাই করা ছবি।বইটির প্রকাশক পাঠকের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেখককে।

এই পরিচিতি বইটি পাঠে সহায়ক হয়ে ওঠে।

তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন বইটি বাবা-মা ও আত্নীয়দের উৎসর্গ করেছেন লেখক কাজী মোহাম্মদ জমিরুল ইসলাম মমতাজ।

প্রথম লেখা দূটি ‘বাবা-মা’কে নিয়ে। পড়তে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। জল ঝরে। মনে বৃষ্টি নামে। বাবা-মায়ের সঙ্গে জীবনের গাথা স্মৃতি এমনভাবে বর্ণনা করেন যেন কান্না পায়।

৫৬ পৃষ্টার বইটিতে আছে আলাদা বিচিত্র বিষয়ের স্মৃতির টুকরো টুকরো আয়না। যাতে চোখ বুলালে অন্যের জীবনে নিজের জীবনও দেখা যায়।

কবিতা গুলো কখনো কখনো মনে হবে কারো ডায়েরি পড়ছি।কখনো মনে হবে স্মৃতিগন্ধী জীবনী।

 

লেখকের বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় স্বর্গীয় শিশুকাল, বর্ণিল শৈশব ও দুরন্ত কিশোরবেলা,স্মৃতির দরদি রুমালে তিনি তা এঁকেছেন।

যা চোখের সামনে মখমলের কারুকাজের মতো পাঠকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

লেখালেখি শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। 

 

প্রথম যৌবনেই শিক্ষকতার মধ্যদিয়ে শুরু হয় কর্মজীবন। সাথে সাহিত্য ও সাংবাদিকতা।যার কারণে বেশি সুফলতা বয়ে আনেনি।কিন্তু তিনি কখনো কবিতা ভুলেননি। ছাড়েননি লেখালেখিও....

দৃশ্য-অদৃশ্য নানান ঘঠনাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন কবিতার হরফে।

বার বার ‘মানুষ’ ও সমাজের চিত্র নিয়ে লিখেছেন। যা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক গত সময়ের জন্য।

 

কথা হল;

কবিতা এখনকার পাঠকরা পড়তে চায় না। এমনটা যাঁরা ভাবছেন;

সেই সব পাঠকদের জন্য কাজী মোহাম্মদ  জমিরুল ইসলাম মমতাজ'র “মানুষ” কবিতার বই।

পরিশেষে বলা যায়, সমসাময়ীক বাংলা সাহিত্যে কবিতার যে খড়া চলছে তার মাঝে দাঁড়িয়ে এই অনবদ্য বইটি কাব্যের জয়গানই উচ্চারণ করবে।

এমন কবিতা লেখকের কাছে আরো আশাকরি।