সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর মেজা ভাই ইকবাল আহমদ দুইবার মেম্বার ছিলেন সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়া ইউনিয়নের। পরবর্তীতে একই ইউনিয়ন থেকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইকবাল আহমদ। হযরত শাহপরাণ (র) এর আধ্যাত্মিক ভূমি খাদিমপাড়া ইউনিয়ন এলাকা ওইসময় চরম অবহেলিত ছিল। ইকবাল আহমদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে এলাকার যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ শুরু করেন। ওই যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে আজো এই এলাকার মানুষ চলাচল করেন। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলমের আরেক ভাই মলন মিয়া ইউনিয়ন মেম্বার নির্বাচিত হন। পরিবারটি এভাবে যুগযুগ ধরে জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকার মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম নিজস্ব রাজনৈতিক প্লাটফর্মে অবস্থান করে দিনের অধিকাংশ সময় এলাকার মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবার তিনি আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। এই ৩৫ নং ওয়ার্ড এক সময় খাদিমপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। এখন সিলেট সিটি করপোরেশনে বর্ধিত এলাকায় স্থান পেয়েছে।
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২-৩ মাস ধরে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। সভা সমাবেশ করে আসন্ন সিটি নির্বাচনে ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীতার ঘোষণা দিচ্ছেন। সহযোগিতা কামনা করছেন সকলের। সাধারণ মানুষও এককাতারে সামিল হচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলমের জন্যে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুধু ৩৫ নং ওয়ার্ড নয়, পুরো শাহপরাণ এলাকা, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন এলাকার প্রিয়মুখ হচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। সুখে দুখে সহজে তাকে কাছে পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের জন্যে তার ঘরের দরজা সবসময় খোলা থাকে।
৩৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি দৈনিক বায়ান্নকে জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা। এই এলাকার সবকটি রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। চলাচলে অনুপযোগি। এছাড়া এলাকার স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যে খেলার কোনো মাঠ নেই। এই এলাকায় খেলার একটি মাঠ তৈরি করার জন্যে তিনি দীর্ঘদিন স্বপ্ন দেখে আসছেন। মাঠ তৈরির জন্যে পর্যাপ্ত সরকারি জায়গাও আছে। জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনি ওইসব কাজ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন।