ঘূর্ণিঝড় হামুন’র তান্ডবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অন্তত ৫ শতাধিক কাঁচাঘর বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। হামুন’র তান্ডবে উপড়ে গেছে বহু গাছপালা ও ঘেরাবেড়া। বাতাসের তীব্রতায় ভেঙ্গে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। পানির তোড়ে ব্রীজ, কালভার্ট ও সড়ক ভেঙ্গে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অন্তত ৫০-৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের টিনের চালা উপড়ে ফেলেছে। মঙ্গলবার রাতে হামুন’র ১ ঘন্টার তান্ডবে চকরিয়ায় এ ক্ষতি হয়। একইভাবে দমকা হওয়ার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন ছড়াখাল দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে একাধিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াখালের পানি উপচিয়ে চাঁন্দের বাপের পাড়া অংশে সড়ক ভেঙ্গে বিলিন হয়ে গেছে। বরইতলী সহ উপজেলার বিভিন্ন নিণ¥াঞ্চলের ধান ও ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হামুন’র তান্ডবে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ও ভেঙ্গে গিয়ে এবং সঞ্চালন লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। বদরখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড গোরস্থান পাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে আসকর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় বিভিন্ন এলাকায় ঘরের উপর গাছপালা পড়ে অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতের এক ঘন্টার তান্ডবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ১০ স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়। এ সময় মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, চিরিঙ্গা-মানিকপুর সড়কের মানিকপুর ফাইতংছরা ব্রীজ ও সড়ক ভেঙ্গে সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, হামুন’র প্রভাবে চকরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ লিখিত উপজেলা প্রশাসনে জমা দিতে। এছাড়া সরকারী অফিসারদের নিয়ে গঠিত একাধিক টিমও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ৫ শত কাঁচাঘর বিধ্বস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।