ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

৬০১ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু-এলেঙ্গা চার লেন সড়কের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

১৯৯৮ সালে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর নির্মিত হওয়া বঙ্গবন্ধু সেতু ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র প্রবেশদ্বার। সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। কিন্তু ঈদের সময়ে যানবাহনের চাপ বেড়ে তিন থেকে চারগুণ হয়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে-এলেঙ্গা মহাসড়কটির ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই লেন থাকায় চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও যানবাহন।

গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক চার লেনের সুবিধা থাকলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দুই লেন থাকায় ঈদের সময়সহ প্রায় সারা বছরই সড়কটি যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনায় ঘটে প্রাণহানি, হয় আহত। দীর্ঘ দিনের এমন সীমাহীন ভোগান্তি ও দুর্ভোগের পর মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার চার লেনের কাজ শুরু করেছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড নামে একটি দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক বছর আগে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কটির দক্ষিণ পাশে বিভিন্ন স্থানে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রশস্তকরণের কাজ করছে শ্রমিকরা। তবে কাজের অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।

মহাসড়কে চালকরা জানান, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ শেষে কাজ শুরু হয়েছে। মহাসড়কের পাশে মাটি ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কচ্ছপের গতিতে কাজ চলছে। এ দুই লেনের চলমান কাজ শেষ হলে জনভোগান্তি থাকবে না। চলমান কাজ দ্রæত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি। 

সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, আমি পড়াশোনার জন্য মাসে ৬-৭ বার ঢাকায় যাতায়াত করি। আসার পথে এলেঙ্গা পর্যন্ত দ্রæত সময়ে পৌঁছাতে পারি। তবে এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজট হয়। তাই সড়কটি বাস্তবায়িত হলে আমার মতো যাত্রীদের সময় বেঁচে যাবে। আমরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবো।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, সংযোগ সড়ক প্রকল্প (সাসেক) ফেইজ দুই এর অধীনে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পে ১৩.৬ কিলোমিটার মহাসড়কে একটি ফ্লাইওভার, আটটি ব্রিজ, ১০টি কালভার্ট ও দুইটি আন্ডারপাসসহ একটি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৬০১ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনসহ এসএমভিটি (সার্ভিস লেন) করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা। প্যাকেজ- পাঁচ এর অধীন এ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু (বিবিএ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ২০২১ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। আশা করছি যথা সময়ে মহাসড়কের কাজ শেষ হবে।