ঢাকা, সোমবার ৬ মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

‘এমভি আবদুল্লাহ নিরাপদে মুক্ত হওয়ায় ভাবমূর্তি বেড়েছে’

নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:১২:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিরাপদে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের আন্তরিকতা, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় এটি সম্ভব হয়েছে।

 

এটা পজেটিভ দিক।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৩৭তম বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় আমরা আমাদের জলসীমা নিরাপদ রেখেছি। চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপদ। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ আসলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়বে।  

 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা চাই প্রতিযোগিতা থাক। বায়ার চায় অর্ডার ঠিকমতো ডেলিভারি পাচ্ছে কিনা। দেশে লজিস্টিক সাপোর্ট থাকলে পোশাক কারখানার অর্ডার বাড়বে। পিসিটিতে প্রতি বছরে আড়াই লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ভাড়া দিতে হবে কার্যাদেশ পাওয়া বিদেশি অপারেটরকে। সবার কাছে হিসাব আছে বাংলাদেশের চাহিদা সম্পর্কে। বে টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে বিদ্যমান বন্দর জেটিতে লাইটার জাহাজ ও প্যাসেঞ্জার শিপ ভিড়তে পারবে।  

 

কর্ণফুলী দখল দূষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্ণফুলী চট্টগ্রাম বন্দরের হার্ট। এ নদী আমাদের মায়ের মতো। নদী খনন, বর্জ্য অপসারণ নিয়মিত করে যাচ্ছি। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। বর্জ্য ঠেকাতে বন্দরের পক্ষ থেকে খালের মুখে নেট বসিয়ে দেওয়া হবে। তবে এককভাবে কারও পক্ষে নদী রক্ষা সম্ভব নয়। বন্দরের অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। ১৯৮৬ সালে নির্ধারিত ট্যারিফে বন্দর চলছে। এখন জ্বালানির দাম বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের ট্যারিফ কম। আমরা প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। এটা জরুরি।