দিন যত যাচ্ছে মাছের দামও তত বাড়ছে। প্রতি সপ্তাহেই ১০ থেকে ২০ টাকা করে বাড়ছে মাছের দাম। মাছের দাম বৃদ্ধির পেছনে জ্বালানি তেলের দাম, নদীতে মাছ কম পাওয়াসহ নানা কারণ উল্লেখ করছে ব্যবসায়ীরা।
কমদামি মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের দামও এখন প্রায় ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, ১৫০ টাকার নিচে মাছই নেই বাজারে। আগে ৫০-১০০ টাকা হলেই মাছ কেনা যেত, এখন লাগে ২০০ টাকা।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দাম এত বেশি যে, নিম্ন আয়ের মানুষ বাজার থেকে দাম জেনে পণ্য না কিনে মুখ কালো করে বাজার ছাড়ছেন। অনেকে অনুনয়-বিনয়ও করছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ ১৮০-২২০ টাকা; তেলাপিয়া বড় সাইজ ২৯০-৩০০, মাঝারি ২৪০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, দুই থেকে চার কেজি ওজনের কাতল মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা; বড় সাইজের বোয়াল ৭০০ টাকা; ছোট সাইজের বোয়াল ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিন কেজি ওজনের দেশি রুই মাছ ৫৫০ টাকা; ছোট রুই ৩০০-৩৫০ টাকা; গ্রাস কার্প মাছ ২৫০-৩০০ টাকা; কাকিলা মাছ ৫০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাছা মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা, চিতল মাছ ৬০০ টাকা, কই ২০০ টাকা, দেশি শিং এক হাজার টাকা, শোল মাছ ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬৫০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৫০০ টাকা; টাকি মাছ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কালাম মোল্লা বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে মাছের বাজার কিছুটা চড়া। কারণ, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে মাছ আসছে কম। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই দাম বেশি। এখন প্রতি সপ্তাহেই দাম ১০-২০ টাকা বাড়ছে, আবার কোনো সপ্তাহে কমেও। তবে দাম বাড়ার পরিমাণই বেশি।
ক্রেতা আব্দুল রাজ্জাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুধু মাছের বাজার না। দেশে সবকিছুর দামই বেশি। শুধু আমাদের পকেটটাই বড় হচ্ছে না। পকেটের মুখটাই বড়। আগে বাজারে এলে ৫০-১০০ টাকা হলেই এক বেলার মাছ কেনা যেত, এখন তো ১৫০ টাকার নিচে মাছই নেই বাজারে।
তিনি বলেন, ২০০ টাকার নিচে বাজারে মাছ কিনতে আসা যায় না। একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা তো আরও খারাপ। কিছু দিন পর তো দেশের মানুষ ভুলে যাবে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ বলে একটা কথা ছিল। মানুষ যাবে কোনদিকে?