আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, তাদের চক্রান্ত থেমে যায়নি। আর যেহেতু তারা জানে কারও কাছে আমরা মাথা নত করি না, সেজন্য চক্রান্ত আরও বেশি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে জয়লাভ করে। আর এই বিএনপি বড় বড় কথা বলে, লম্পঝম্প করে, তারা পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। যে কারণে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে সরে যায়।
তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ আমাদের ক্ষমতায় এনেছে। বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ক্ষমতায় আছি বলে বাংলাদেশ আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। আমরা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আজকে মাত্র সোয়া দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ফরিদপুর চলে এসেছি। আগে লঞ্চে-স্টিমারে করে অনেক সময় লাগতো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শুধু নৌকা মার্কা ভোট পেলে আমি সরকারে আসতে পারব। আর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে পারব। বাংলাদেশ কখনও পিছিয়ে যাবে না।
এর আগে, দুপুর ১টা ৮ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মাগুরা, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার সব আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।