“কোটিপতি কোটিপতি কোথায় পেলে ভাই অমনও অগণিত টাকা।” জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত উপ-শহরস্থ মধুপুর রোড়ের অসাধু মাংস ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছেন। বাড়িতে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ভবন তৈরি করছেন। ইতোমধ্যেই একতলার কাজ প্রায় শেষ। এছাড়াও এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চড়া সুদে অর্থ লগ্নির রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগেও অবৈধ মাংস ব্যবসার জন্য তার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় সচেতন মহল। অতি সম্প্রতি ওই হাফিজুর কসাই তার এক খালাত ভাই এর একটি অসুস্থ গরু মাত্র ৩০ হাজার টাকায় কিনে। ওই গরুটির মাংস বিক্রি করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এছাড়া মাত্র সাড়ে ১০ হাজার টাকায় করবাড়ীর শামছুল হকের অর্ধমৃত একটি অসুস্থ গরু রাতের আঁধারে জবাই করে। পরদিন সকালে স্থানীয় হোটেলগুলোতে ওই মাংস সরবরাহ করার সময় জনতার নজরে পড়ে। প্রতিবাদী কয়েকজন যুবক তার বাড়িতে গিয়ে ডিপ ফ্রিজে আগের রাতের মাংসসহ ঈদুল আযহার মাংস, বেশ কিছুদিন আগের প্রায় আধা মণ পঁচা-বাসি মাংস ও আইসক্রিমের বাক্সও দেখতে পায়। বিষয়টি স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিগণ মধুপুর রোড়ের বণিক সমিতির নেতাদের অবহিত করেন। পরে ওই বণিক সমিতি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হাফিজুর কসাইয়ের অবৈধ মাংস ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। সাধারণ ভোক্তাসহ এলাকাবাসীর প্রশ্ন- অসাধু মাংস ব্যবসায়ী হাফিজুর কসাই এতো সাহস কোথায় পায়? সেই সাথে প্রশ্ন ওঠেছে কাদের ছত্রছায়ায় তিনি অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে কোটিপতি বনে গেছেন? এসবের সঠিক তথ্য খুঁজে তার অবৈধ রমরমা ব্যবসার মূলোৎপাটন করা দরকার। এজন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে কসাই হাফিজুর রহমান স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থেকে আনা ফ্রিজজাত মাংস ব্যবসা করে আসছেন। এতো টাকার মালিক হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় তিনি স্বীকার করেন শুধু অবৈধ মাংসের ব্যবসাই নয়, অর্থলগ্নির ব্যবসাও করেন।