হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের ১৭ বছরের কিশোরের সাথে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরীর বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। আর সেই বিয়ে পড়ানোর দায়িত্বে থাকার অভিযোগ উঠেছে উক্ত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য বিউটি দাসের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর চরহাটীতে এই বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বিউটি দাস বদলপুর ইউনিয়নের ৪,৫,এবং ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য।
তবে নারী ইউপি সদস্য বিউটি দাসের দাবী বিষযটি প্রেম সংক্রান্ত হওয়ায় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এবং এই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর চরহাটী গ্রামের বাসিন্দা চন্দন দাসের কিশোর ছেলের সাথে চরহাটী নতুন গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বসন্ত কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জনৈক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোর ছেলেটি কিশোরীর বাড়ির পাশে গেলে কিশোরীর বোনের জামাতা কিশোরকে আটক করে। আটকের পর উক্ত ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য বিউটি দাস মুটোফোনে কিশোরের পিতাকে আটকে বিষয়টি অবগত করে মেয়ের বাড়িতে আসতে বলেন । কিশোরের পিতা চন্দন দাস ঘঠনাস্থলে এসে ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দিবেন বলে সম্মতি দেন। কিন্তু ইউপি সদস্য বিউটি দাস বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় স্থানীয় দশরথ চক্রবর্তী নামে একজন ব্রাহ্মণ্য দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
চন্দন দাস জানান- ঘঠনার পর ইউপি সদস্য বিউটি দাস আমাকে ধমকি দিয়ে ঘঠনাস্থলে যেতে বলেন। আমি গিয়ে ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দিবো বলে জানাই। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে আটকে রেখে রাত ১২ টায় বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। আজ (শনিবার) দুপুর পর্যন্ত ছেলেকে আটক রাখা হয়েছে ।
আনসার সদস্য রতিকান্ত দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ইউপি সদস্য বিউটি দাসকে বিষয়টি উপজেলা প্রশানকে অবগত করতে বললেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
ইউপি সদস্য বিউটি দাস বলেন,ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। আটকের পর বিষয়টি আমি জানতে পারি। এসময় মেয়ে বিয়ে না করালে অঘঠন ঘঠাবে বলে জানায় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা বিয়ে পড়াই। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি এসিল্যান্ড মহোদয়কে অবগত করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ঐ নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কুহেলিকা সরকার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে আমাদের কাছে জমা দেয়ার জন্য। বিয়ে যেহেতু হয়ে গেছে বিষয়টি আইনি ভাবে দেখা হবে এবং ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।