ঢাকা, রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯শে পৌষ ১৪৩১

আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত শ্রীবরদীর কৃষকরা

আরফান আলী, শ্রীবরদী (শেরপুর) : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৩:৪০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কৃষকরা। ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসবে মেতে উঠেছেন কৃষান-কৃষাণীরা। 
এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এখানকার কৃষকরা নানান ধরণের ধান আবাদ করে থাকেন। ব্রিধান ৭৫, ব্রিধান ৭৪, ব্রিধান ৪৯, ধানী গোল্ড, রঞ্জিন, পাইজামসহ নানান জাতের ধান চাষ করেন কৃষকরা।
 
আমন মৌসুমে প্রথম দিকে পরিমিত বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর উঁচু জমিতে মটর দিয়ে সেচ দিয়েছেন, অনেক কৃষক আবার শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিয়েও ধান লাগিয়েছেন। নিচু জমিতে তেমন সেচ দিতে হয় নি। অন্যদিকে পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
 
সব ঝঞ্জাট শেষে সোনালি ধান ঘরে তুলতে কৃষকরা সারাদিন ব্যস্ততা সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝাড়াই মাড়াই করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কার্তিকের নবান্ন উৎসবে মেতে উঠছেন ছোট বড় সবাই।
 
কৃষকরা জানান, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিবছর মৌসুমগুলোতে শ্রমিকের মজুরী দৈনিক ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে থাকে। কিন্তু এবছর ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
কৃষকদের দাবি এবছর যদি ধানের বাজার না কমে তবে আমরা অনেক লাভবান হবো।
 
এদিকে অনেক কৃষকরা ধান কেটে সে জমিতে সরিষা, ভুট্টা, গম , আলু,পেয়াজ, কলাসহ অন্যান্য দেশীয় ফসল আবাদ করতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। 
কৃষক মিস্টার আলী বলেন, আমার ধান কাটা শেষ। বাড়িতে ঝাড়াই মড়াই করতাছি। আর সেই জমিতে সরিষা, ভুট্টা, আলু চাষ করার জন্য পাওয়ার টিলার দিয়ে হালচাষ করে রাখছি। 
 
শ্রীবরদী কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭ হাজার ৮ শত ১২ হেক্টর। এর মধ্যে ৯০% জমির ধান কাটা হয়েছে।