মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পাখি ও পাখি ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই পাখিগুলোকে কাজে লাগিয়ে অন্য পাখিদের ধরে বাজারে বিক্রি করতেন পাখিশিকারি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাল্লারপার এলাকায় এই অভিযান করে বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
বন বিভাগের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও উদ্ধারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ডলাইফ (সিউ)’-এর সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম, কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সম্পাদক আহাদ মিয়া, বাঘমারা ক্যাম্পের বিট অফিসার জুলহাস পাটোয়ারি, ওয়াইল্ডলাইফ জুনিয়র স্কাউট তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও উদ্ধারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ডলাইফ (সিউ)’-এর সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম ও কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সম্পাদক আহাদ মিয়া বলেন, ‘মানুষকে বোঝাতে হবে পাখি ও বন্যপ্রাণি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাখি শিকার রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কোথাও কোনো বন্যপ্রাণি আটকা পড়লে বা কেউ ধরলে সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগ ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’ শীত মৌসুমে হাওর ও অন্যান্য জায়গায় অতিথি পাখি আসে। এ সময় প্রায়ই পাখি শিকারের কথা বেশি শোনা যায়।’
বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বন বিভাগ। আমাদের যাওয়ার খবর পেয়ে পাখি শিকারিরা পালিয়ে যায়। পাখি ধরার সরঞ্জামসহ ৫টা তিলা ঘুঘু পাখি নিয়ে আসি। পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।’