কুতুবদিয়ায় তিন দিন ধরে ঘরবন্দী করে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গৃহবধূ সুমি আক্তার। তাকে লোহার রট দিয়ে সারাদেহে নির্যাতন হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সুমি আক্তারের পরিবারের দাবি, সুমিকে হত্যার উদ্দেশ্য এ ভয়াবহ নির্যাতন করেছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দা পাড়ার সুমি আক্তারের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি ওই গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র।
সুমি আক্তারের মা শাজেদা বেগম বলেন, সুমিকে প্রায় সময় নির্যাতন করা হলেও নাতিদের মূখ চেয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেওয়া হয়। নির্যাতন সহ্য করেও সংসার টিকানোর স্বার্থে সুমি স্বামীর সংসারে ঠিকে থাকে। কিন্তু যৌতুকের দাবিতে ও পরকিয়া সম্পর্ক জড়িয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক সুমিকে হত্যার উদ্দেশ্য অমানবিক নির্যাতন দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জীবন বাঁচাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সুমি। কিছুদূর গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সুমিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সুমি আক্তারের অভিযোগ তার স্বামীর আগের স্ত্রী ( তালাকপ্রাপ্ত) থাকলেও তা গোপন করে বিয়ে করে। বিয়ের পরেও তালাকপ্রাপ্ত আগের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখে আবু বক্কর সিদ্দিক। এতেই তার উপর শুরু করে অমানবিক নির্যাতন।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, ওই রকম কোন অভিযোগ এখনও আসেনি। যদি লিখিত অভিযোগ হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সুমি আক্তারের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা নির্যাতনকারীর কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
7 Attachments • Scanned by Gmail