ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কুষ্টিয়া থানা আমি নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙ্গেছি" যুবদল নেতার ভিডিও ভাইরাল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৪:০০ অপরাহ্ন | খুলনা

ছাত্র- জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের করুন পরিনতির মাধ্যমে পতন হলে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়ি স্থাপনা এমনকি বিভিন্ন থানাতে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। থানার অস্ত্র গোলাবারুদ এমনকি আসবাবপত্র বিভিন্ন মামলায় আটক গাড়ি সহ জানারা দরজা পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। অনেক স্থানে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

 

বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতে কারা থানায় হামলা চালিয়েছিল, আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বা পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেছিল, তার বেশিরভাগ তথ্যই এখনও অজানা।

এরই মধ্যে জানা গেল ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেলা যুবদলের আহবায়ক  আব্দুল মাজেদ। আর একথা নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি।

বুধবার বিকালে সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় আয়োজিত এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় আব্দুল মাজেদ বলেন, “শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই শেখ হাসিনার সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। কুষ্টিয়ায় শেষের দিন যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, এখানে আন্দোলনকারীরা আছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।”

থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে দেওয়া যুবদল নেতা মাজেদের এই ‘সরল স্বীকারোক্তি’র ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেটিজেনরা তা নিয়ে করছেন আলোচনা-সমালোচনা।

সমাবেশে যুবদল নেতা মাজেদ আরও বলেন, “আমি আপনাদের বলব, আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে কুষ্টিয়ায় আমাদের দম বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। জনগণ ভোট না দিলে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দম যেন বন্ধ না হয়। হানিফ, আতা এবং খুনি হাসিনার মতো যেন পালাতে না হয় “

এই আন্দোলনে তার স্ত্রী-তিন সন্তানসহ সবাই যুক্ত হয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রক্তে যখন টান দেয়, তখন জনগণের স্রোত ঠেকানো যায় না। তাই জনগণের স্রোতে শেখ হাসিনা চলে গেছে।”

গত ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভাঙচুরের পাশাপাশি চলে লুটপাটও। লুট করা হয় থানার অস্ত্র, শেষে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ৯ আগস্ট ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আব্দুল আলিম। সেখানে থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও এই মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মাহফুজুল হক চৌধুরী।

পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে আব্দুল মাজেদ প্রকাশ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব উদ্দিন  বলেন, “এই ধরনের বক্তব্য যদি তিনি দিয়ে থাকেন তাহলে ঠিক করেননি। বিষয়টি কেন্দ্রকে অবগত করা হবে। কেন্দ্র নির্দেশ দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সবচেয়ে জনপ্রিয়