কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশা ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষজন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে বিপাকে। জেলায় টানা চার দিন ধরে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, জেলায় সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে ঘন কুয়াশার মাত্রা ক্রমান্বয়ে আরও ঘনভূত হওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
শ্রমিক আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিদিন সাইকেলে করে কাজে যেতে হয়। যে কনকনে ঠান্ডা পড়েছে সাইকেল চালিয়ে শহরে যেতে খুব কষ্ট হয়। হাত পা শীতে বরফ হয়ে যাচ্ছে।
মশিউর রহমান বলেন, এভাবে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হয়। কাজ না করলে তো আর সংসার চলে না। উপায় না পেয়ে কষ্ট হলেও কাজে যাচ্ছি।
মোগলবাসা ঘাটের মাঝি আব্দুল জলিল বলেন, একে তো কনকনে ঠান্ডা তার ওপর ঘন কুয়াশা। এ সময় নদীতে পানি কম থাকে ফলে নৌকা নিয়ে চলতে খুব সমস্যা হয়। অনেক সময় দিক ভুলে অন্য চরে ঢুকে যাই। যাত্রীদের সঠিক সময়ে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।
গৃহবধূ শাহেরা খাতুন বলেন, এই শীতে খুব বিপদে আছি। গরম কাপড়ের অভাবে বাচ্চাগুলো খুব কষ্টে আছে। কেউ যদি একটা কম্বল দিতো ঠান্ডার কষ্টটা একটু কমতো।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।