গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ।
গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার কুশলা ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ হাজার ৯৩০ জন দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরন করা হয়। প্রতি সুফল ভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৯ কেজি চাল বিতরনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া চাল দেয়া বাবদ প্রতিজনের কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ রয়েছে মেম্বারদের বিরুদ্ধে।
ভিজিএফের সুফল ভোগী কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড় গ্রামের গৃহবধূ পারভীন বেগম (৪৫), লিপি বেগম (৪০) ও বিধবা মর্জিণা বেগম (৫০) গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এই অভিযোগ করেন।
কুশলা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আসমা বেগম চাল বিতরণে ২০ টাকা করে আদায় করার কথা স্বীকার করে বলেন, কুশলা ইউ.পি চেয়ারম্যান চৌধুরী সুলতান মাহমুদ কালু চাউল বিতরণে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করতে বলেছেন। সেই কারণে আমরা চাল বিতরণের সময় ২০ টাকা করে আদায় করেছি।
এ বিষয়ে কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী সুলতান মাহমুদ কালুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই চাউল প্যাকেট করতে খরচ আছে। এই চাউল প্যাকেট করতে অবলম্বন নামের ব্যাগ ফ্যাক্টরী থেকে একটি ব্যাগ ১৫ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাই ইউ.পি মেম্বরদের ২০ টাকা আদায় করতে বলেছি। এই চাউল বিতরণে আমাদের পকেট থেকে অন্ততঃ ১৫/২০ হাজার টাকা খরচ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার কুশলা ইউনিয়নে চাল বিতরণে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি করা হয়নি। এমনকি চাল ওজনে কম দেওয়া হয়নি বলে জানান ওই জনপ্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, বিষয়টি জানার পর সোমবার রাতে উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায়কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।