আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের কার্যালয়, প্রশাসনিক ভবন ও প্রত্যেকটি একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপাচার্য কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এরপর একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
দুপুর বারোটার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানায়,"গতকাল(১৬ই জানুয়ারি, রবিবার) শাবিপ্রবির আইআইসিটি ভবনের সামনে অবস্থানকালে বিনা উস্কানিতে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের স্বীকার হয় নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যাদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২০ এর বেশি। এরমধ্যে কারো মাথা ফেটেছে, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড জখম হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে অনেকে । ছাত্রীদের ওপর অসম্ভব নিষ্ঠুর ভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা মুহুর্মুহু লাঠি চার্জ করেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিশেষ করে উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছে তা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের হতবাক করেছে তেমনিভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে এই অথর্ব, স্বৈরাচারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উৎখাত করতে। বর্তমানে কোনো শিক্ষার্থীই এই উপাচার্যের দায়িত্বে থাকাকালে ক্যাম্পাসে নিরাপদ বোধ করছে না। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা হামলার মূল মদদদাতা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে তাকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে, সাথে সাথে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টাকেও বিনাশর্তে পদত্যাগ করতে হবে। একইসাথে শিক্ষার্থীরা আজ বেলা ১২টার মধ্যে প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করছে। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ তাদের হলছাড়া করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের হলছাড়া করা বা আন্দোলন বানচাল করার যেকোনো প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবে। এছাড়াও গতদিনের হামলার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে, অবিলম্বে ক্যাম্পাসে মোতায়েনকৃত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।"
সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপাচার্য কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এরপর একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
দুপুর বারোটার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানায়,"গতকাল(১৬ই জানুয়ারি, রবিবার) শাবিপ্রবির আইআইসিটি ভবনের সামনে অবস্থানকালে বিনা উস্কানিতে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের স্বীকার হয় নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যাদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২০ এর বেশি। এরমধ্যে কারো মাথা ফেটেছে, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড জখম হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে অনেকে । ছাত্রীদের ওপর অসম্ভব নিষ্ঠুর ভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা মুহুর্মুহু লাঠি চার্জ করেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিশেষ করে উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছে তা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের হতবাক করেছে তেমনিভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে এই অথর্ব, স্বৈরাচারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উৎখাত করতে। বর্তমানে কোনো শিক্ষার্থীই এই উপাচার্যের দায়িত্বে থাকাকালে ক্যাম্পাসে নিরাপদ বোধ করছে না। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা হামলার মূল মদদদাতা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে তাকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে, সাথে সাথে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টাকেও বিনাশর্তে পদত্যাগ করতে হবে। একইসাথে শিক্ষার্থীরা আজ বেলা ১২টার মধ্যে প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করছে। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ তাদের হলছাড়া করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের হলছাড়া করা বা আন্দোলন বানচাল করার যেকোনো প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবে। এছাড়াও গতদিনের হামলার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে, অবিলম্বে ক্যাম্পাসে মোতায়েনকৃত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।"