জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে উপজেলার নওটিকা-ক্শেুরতা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়মানুযায়ী ৯ম ও ১০ম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী শিক্ষার্থীদের ট্যাব দেওয়ার কথা থাকলেও ঐ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে মঙ্গলবার এসব ট্যাব বিতরণ করা হয়। ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, সহকারী শিক্ষক ফরহাদ হোসেন নিয়মানুযায়ী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের মেয়ে, আর এক সহকারী শিক্ষকের কথিত ভাগ্নী (অষ্টম শেণির শিক্ষার্থী) ও প্রভাবশালীদের সন্তানদের মাঝে বিতরণ করেন। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখান অফিসের উদ্যোগে উপজেলার ১৭টি এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এ ট্যাব বিতরণ করা হয়। উপজেলার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণ করার কথা থাকলেও নওটিকা-ক্শেুরতা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই নিয়ম মানা হয়নি।
নওটিকা-ক্শেুরতা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের নাম তালিকায় নেই। ঐ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ২য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী সুরভী আক্তার বন্যা, ৩য় স্থান অধিকারী সানজিদা আক্তার ইতি এবং ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ১ম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী কুমারী তমা রানী, ২য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার তৃষা জানান, নিয়ম অনুযায়ী আমরা ট্যাব পাওয়ার কথা থাকলেও সহকারী শিক্ষকের (ফরহাদ) স্বজনপ্রীতির কারণে ওই ট্যাব থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন আমি ট্রেনিংএ আছি, এ বিষয়ের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সহকারী শিক্ষক ফরহাদ হোসেন কে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, আসলে আমাদের ভুল ছিল কিছু ব্যক্তিগত কারনে এমনটা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ বিষয়টি নিয়ে ধরে বসলে আমরা মেনেজ করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার বলেন, ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক পছন্দমতো তালিকা করেছিলেন।সেই তালিকায় অসামঞ্জস্য থাকায় শোকজ করা হয়েছিল। পরে শোকজের জবাব এবং নতুন তালিকা দিলে আমরা সে অনুযায়ী ট্যাব বিতরণ করি। নতুন তালিকায়ও অসামঞ্জস্য থাকার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বন্যা বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।