শনিবার ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীরর তেজগাঁও অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবন থেকে খুলনা বিভাগের ৩ জেলা সহ ৬ জেলায় ভার্চুয়াল জনসভায় যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৫ টায় যুক্ত হওন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী সভায়। কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি ও কুষ্টিয়া-২ মিরপুর- ভেড়ামারা আসনে সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া -১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আঃকাঃমঃ সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ কুমারখালী -খোকসা আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, জেলার ৫ পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, "হাসানুল হক ইনু নৌকায় উঠেছেন, দেখবেন নৌকা দোলখেয়ে ইনু পড়ে না যায়। নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কারন আমি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সব প্রার্থী জনগণের কাছে ভোট চাইবেন।জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবে। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে চাই। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে সবার ভোট প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন সন্ত্রাসী দলে পরিনত হয়েছে। তারা কোন রাজনৈতিক দল না। জামাত যুদ্ধপরাধী দল। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। জামাত বিএনপির হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়ন হবে। দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে এদের ছিনিমিনি খেলেছে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা আরো বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে অগ্নি সন্ত্রাস করে ভয়ংকর রুপ নিয়েছে বিএনপি জামাত। সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ করছে তারা। রেলে আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। মানুষের মনুষ্যত্ব থাকলে এই ভাবে মানুষ হত্যা করতে পারতো না। বিএনপির নেতা নেই মা, ছেলে দুজনই সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তারপরও তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং তার বোন-ভাই রিকুয়েস্ট করার পর সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা, কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখা, গুলি করে আমাকে মারতে চেয়েছিলো। তারপরও তার জন্য এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি।"
জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনি আমাদের নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ এর মাধ্যমে যে উন্নয়ন করে দিয়েছেন, আপনার কাছে চাওয়ার কিছু নাই। শেখ রাসেল হরিপুর সংযোগ সেতু, শেখ কামাল জেলা স্টেডিয়াম, বাইপাস সড়ক, মেডিকেল কলেজ, মসজিদ, মন্দির, কালভাট, রাস্তা, স্কুল কলেজ সহ সব কিছুই দিয়েছেন। এবার আমাদের দেওয়ার সময়। আপনার মনোনীত কুষ্টিয়া থেকে নৌকা প্রতিকের চারটি প্রার্থীকে কে আপনাকে উপহার দিতে চাই। আপনার কল্যানে জেলায় কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ নেই মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে, ব্যবসাবানিজ্য করছে, তাই নৌকার চারটি প্রার্থীকেই মানুষ ভোট দিবে। দেশের সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি হবে কুষ্টিয়া জেলায় এবঙ বিপুল ভোটে নৌকা জিতবে।