নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, খেয়াল রাখবেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মিছিলে, সমাবেশে কোনো অনুপ্রবেশকারী কেউ যেন ঢুকতে না পারে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের জায়গা দেওয়া যাবেনা। বিএনপির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কাজ করা যাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। তিনি নিরাপদ ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। কাজ করে যাচ্ছেন কিভাবে রাষ্ট্রকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ‘ধানের শীষ’ সম্বলিত লিফলেট এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দুর্নীতি, লুটপাট এবং হাজারো অনিয়মে ধ্বংস করে দিয়েছিল। রাষ্ট্রকে পরিণত করেছিল মৃত্যু উপত্যকায়। ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে ২৪'র গণ-অভ্যুত্থানের এ রাষ্ট্রের জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, অন্তর্র্বতী সরকার ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনাসহ গণহত্যার হুকুমদাতা সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। তাদের বিচার নিশ্চিত করবে।
যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, গত ১৭ বছর সীমাহীন অত্যাচার- নির্যাতন চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর। কিন্তু বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যায়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে ইস্পাত কঠিন ঐক্যে থেকে বিএনপি গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে লড়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্যাগ, সাহস ও অকুতোভয় সংগ্রামের ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত ২৪'র গণঅভ্যুত্থান যে গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়েছে।
এসময় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকসহ কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।