ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক

গাড়ির চাপ বেশি থাকলেও যান চলাচল স্বাভাবিক মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী গণশৌচাগার স্থাপন

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ ১০:১৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যাত্রীবাহী গণপরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসাথে মানুষ বাড়ি ফেরাও শুরু করেছে। মহাসড়কে গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। 

বুধবার দুপুরে মহাসড়কের করটিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা জানান, এই মহাসড়কে প্রতিবছর ঈদে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার  সিঙ্গেল লেন থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখন পর্যন্ত রাস্তায় কোথাও যানযট দেখা যায়নি।

অন্যদিকে, যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮১০ জন সদস্য। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতোয়ার রহমান বলেন, আমরা সবসময় মহাসড়কে অবস্থান করছি। ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে বেলা ৯ টা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের কিছুটা চাপ ছিল। পরবর্তীতে বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা-টাঙ্গাইলের মহাসড়কের তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবহন চলাচলে যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। এ দিকে ঈদ যাত্রায় মহাসড়কের পাশে টয়লেট না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বিশেষ করে নারীরা পড়ে চরম বিপাকে। এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটে যাত্রীদের দুর্ভোগের আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে ২৫টি অস্থায়ী গণশৈচাগার। আর এ  উদ্যোগ নিয়েছেন কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর এ আলম সিদ্দিকী। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগেই তিনি এ গণশৈচাগারগুলো স্থাপন করছেন।

মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। পুরুষরা যেকোন যায়গায় টয়লেট করতে পারলেও নারী যাত্রীরা পড়েন চরম বিপাকে। এবার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী টয়লেট দেখা যাচ্ছে। সত্যিই এ উদ্যোগটি প্রশংসার দাবী রাখে।

এ ব্যাপারে মেয়র নূর এ আলম সিদ্দিকী জানান, ঈদ আসলেই এ মহাসড়কে যানজটের কবলে পড়েন ঘরমুখো যাত্রীরা। এতে করে যাত্রীদের টয়লেট করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নারী যাত্রীরা পড়েন বিভ্রান্তিকর অবস্থায়। তাই মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের কষ্ট লাগবের কথা ভেবে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ২৫টি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।