রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ৩০ দিনের মধ্যে গুড়িয়ে দিতে ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। রাজউকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করেন বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন।
গত ২৩ জুলাই রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ‘গুলশান শপিং সেন্টার’টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সিলগালা করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ‘গুলশান শপিং সেন্টার’-এর হোটেল, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গুলশান শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। যেকোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় রোধে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দিতে নির্দেশও প্রদান করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে বলেও জানায় ফায়ার সার্ভিস।
তবে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ব্যবসা পরিচালনা করেছিলেন। তাই বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করে শপিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় ডিএনসিসি।