সিলেটের গোলাপগঞ্জে ও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে খাল থেকে ৭ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোছা. আরিফা বেগম (৭) নামের ওই শিশুর লাশ রবিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার কালী কৃষ্ণপুর গ্রাম সংলগ্ন খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। আরিফা কালী কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রবের মেয়ে।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া (ফোকাল পয়েন্ট) কর্মকর্তা শ্যামল বণিক জানান- রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাড়ার মসজিদে আরবি পড়া শেষ করে বাসায় আসে এবং এবং বিকাল ৩টায় ফের মসজিদে আরবি পড়তে যাবে বলে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু পড়া শেষেও সে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ের গ্রামের পার্শ্ববর্তী খালে দুইটি নৌকার নিচে মৃত অবস্থায় আরিফাকে পাওয়া যায়।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নে ৩ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু আমীর হামজা (৫) এর অর্ধগলিত মরদেহ হাওরের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ঐ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হামজা উপজেলার নতুন জগদল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশীদ বলেন, নতুন জগদল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের শিশু সন্তান ৩ দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আনোয়ার মিয়ার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে হাওরের একটি ডোবায় শিশুর লাশ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তাদির হোসেন বলেন, রবিবার একটি শিশু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে অবগত হই। সোমবার সকালে হাওরের ডোবায় একটি শিশুর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে কাদামাখা অবস্থায় শিশুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে না এটি হত্যা না দুর্ঘটনা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুর পরিবার ও স্বজনরা এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেছেন। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
