উখিয়ায় নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের হাতে অপহরণের শিকার ৫ জনের মধ্যে ছৈয়দুল বশর নামে এক জেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হলেও অপর ৪ জনের এখনো হদিস মেলেনি।
অপরাপর অপহৃতরা হলেন, পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনজুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুফ, নুর মোহাম্মদের ছেলে লুৎফুর রহমান, জিয়াবুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ'র ছেলে ইউছুফ জালাল।
এদিকে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, দায়িত্বশীল প্রতিনিধি না থাকায় অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা কিংবা দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অপহৃত বাকী ৪ জনকে উদ্ধারের জন্য আন-অফিসিয়ালি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীতে মাছ শিকারে গেলে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা।
উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন, স্থানীয়দের খবরে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বাকীদের বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, খিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জানিয়েছেন, মাছ শিকার করতে গিয়ে ৫ জন বাংলাদেশী অপহরণ হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, অপহরণের দুইদিন পর নাফ নদী থেকে ১৬ নভেম্বর পালংখালী ৯নং ওয়ার্ড আঞ্জুমানপাড়ার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ হোসেন এর ছেলে ছৈয়দুল বশর(১৯) লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।
বায়ান্ন/এসএ