সিলেটের গোলাপগঞ্জে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী জুন মাসে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। এ মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হলে মুসল্লিরা নামাজ আদায়ে বড় ধরনের সুবিধা পাবেন বলে অনেকের অভিমত। মসজিদটি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে বলে মুসল্লিরা মনে করেন।
দেশের উপজেলা পর্যায়ে সরকারি অর্থায়নে যেসব মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ তার মধ্যে একটি। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ইসলামি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি ও কর্মসূচী পালনে অনেক সহযোগীতা হবে বলে মুসল্লিরা জানালেন।
দেশের প্রথম সারির একটি উপজেলা হচ্ছে গোলাপগঞ্জ। শিক্ষিত সুধিজনের জন্ম ভূমি ও প্রবাসী অধ্যুষিত জনপদ হিসেবে গোলাপগঞ্জের পরিচিতি রয়েছে সর্বত্র। প্রাকৃতিক তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ গোলাপগঞ্জ জাতীয় অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ নির্মাণে কাজ শুরু হলে সরকারি অর্থায়নে গোলাপগঞ্জেও একটি মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ প্রায় দেড় বছর পূর্বে শুরু হয়।
উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে বিশাল এলাকা জুড়ে এ মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় মুসল্লিরা এ মসজিদটিকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছেন। এখানে ধর্ম চর্চা ও ইসলামি শিক্ষালাভের সুযোগ থাকবে।
উপজেলার ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় ব্যক্তিরা যাহাতে ইসলামের কার্যক্রম এখান থেকে প্রচার করতে পারেন এ ব্যাপারে সব ধরনের সুযোগ রাখা হচ্ছে। সবার জন্য থাকবে একটি পাঠাগার। ধর্মীয় নানা বিষয়কে সামনে রেখে মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মাণ কাজ চলছে। গনপূর্ত বিভাগের সিলেট অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল বারী তুহিন জানান এ মসজিদ নির্মাণে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন মাসে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।