ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঙ্গাইলে ভূমি অফিসের দুই কর্মচারীকে জুতাপেটা করলেন এসিল্যান্ড

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৭:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

নামজারি আবেদনে ক্রটি থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মচারীকে অফিস কক্ষের ভেতরে জুতা পেটা করছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত। শুধু তাই নয়, একজনের মাথার টুপি খুলে নিয়ে কটুক্তিও করেছেন তিনি।

সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এসিল্যান্ডের নিজ অফিস কক্ষে এমন কান্ড ঘটান তিনি। দুই কর্মচারী হলেন- সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম ও আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম।

জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২ টার আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলামকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন এসিল্যান্ড অমিত দত্ত। পরে নামজারির কাজে ক্রটি দেখিয়ে দফায় দফায় প্রায় এক ঘন্টা খায়রুল ইসলামকে জুতাপেটা করেন তিনি। এরপর খায়রুল ইসলাম বের হয়ে আসলে ওই সময় সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম তার কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত জুতা দিয়ে তার দিকে ঢিল ছুঁড়েন এবং চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে রাগে মুমিনুলের মাথার টুপি খুলে ফেলেন এবং তাকে মারপিট শুরু করেন।

এ ব্যাপারে সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ডের স্যারের অফিস কক্ষ প্রবেশ করা মাত্রই আমাকে জুতা দিয়ে ঢিল মারেন এবং চেয়ার থেকে উঠে মাথার টুপি খুলে ফেলে জুতা দিয়ে মারপিটসহ টুপি নিয়ে নানা ধরনের কটুক্তি করেন। পরে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি।

আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে নামজারির কাজে ভুল দেখিয়ে এসিল্যান্ড স্যার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করেছেন।

এ অভিযোগের বিষয় জানতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি ওই দুইজন স্টাফের কাজে ভুল হওয়ায় তাদের ডেকে নিয়ে বকাঝকা করেছেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, ওই দুই কর্মচারী অবৈধভাবে ৪৫টি নামজারী করেছেন। এসিল্যান্ড এ বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে সর্তক করেছেন। কিন্তু ওই দুই কর্মচারী চাকুরীর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। ঘটনা জানতে পেরেই আমি ওই দুই কর্মচারীকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সংযুক্ত করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।