কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুত্রের বাঁশের লাঠির আঘাতে রুহুল কাদের (৫৫) নামে এক পিতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পরই ঘাতক পুত্র পালিয়ে যাওয়ার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সন্তানের হাতে পিতার মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৩নভেম্বর) সকালের দিকে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় বর্বর এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত রুহুল কাদের ওই এলাকার সাবেক মেম্বার জামাল উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার রুহুল কাদের তার ছেলে শহিদুল ইসলামকে সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। পরে তাকে ক্ষেতে যাওয়ার জন্য বলা হলে পিতার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে তার পিতা রুহুল কাদের ওপর আক্রোশ হয়ে পেছন থেকে বাঁশের লাঠি দ্বারা স্বজোরে মাথায় আঘাত করে। এতে সে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই সময় পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে রুহুল কাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পর পরই নিহতের ছেলে শহিদুল ইসলাম পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্বার করে প্রাথমিক সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয়রা যখন হত্যার ঘটনাটি আমাকে অবহিত করে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানতে পেরেছি ক্ষেতের বিষয়ে পিতা-পুত্রের তর্ক হয়েছিল। মূলত তা নিয়ে বর্বর এ ঘটনাটি ঘটে। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ছেলের হাতে পিতা খুনের ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থল যাওয়া হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার আসামী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।