জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া বাজারের সার্বজনীন কালী মন্দিরে ৩১তম দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছে মন্দির কমিটি।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভৈরব সাহার সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ৩১ বছর আগে স্বর্গীয় পরেশ চন্দ্র সাহার উদ্যোগে ও স্বর্গীয় নিপেন্দ্র মোহন সাহা ওরফে কিনু সাহার সহযোগিতায় এ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে ওই মহৎ ব্যক্তিদ্বয় এ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় কয়েক পাতা টিনের ছাপড়ায় মন্দিরটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে মূল মন্দিরটি নান্দনিক কারুকার্যপূর্ণ শোভামন্ডিত পাকা ইমারতসম। যা ব্যক্তি, সংগঠন, সংস্থাসহ সরকারের দান-অনুদানে নির্মিত। মূল মন্দিরটির সামনেই রয়েছে বিশাল আয়তনের নাট মন্দির কমপ্লেক্স। এটিও ভক্ত অনুরাগীদের দান-অনুদানেই ইদানীং আধুনিকায়ন করা হয়েছে। নাট মন্দির সংলগ্ন বংশাই নদীর তীরে রয়েছে শ্মশানঘাট। এটিও উন্নয়নে সদা তৎপর রয়েছে কমিটির লোকজন। এ মন্দিরটির উন্নয়নে প্রদীপ কুমার সাহা, বিমল কুমার সাহা, অজিত কুমার সাহা, সজীব কুমার সাহা, নিমাই চন্দ্র সাহা, শংকর চন্দ্র কর্মকার ও সপলব সাহাসহ অনেকেরই অবদান রয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য মন্দির কমিটিকে কিছ ু ব্যক্তি ঋণও করতে হয়েছে। তাই ভক্ত-অনুরাগীসহ সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দান-অনুদান পেলে অবশিষ্ট উন্নয়ন কাজ করা সহজ হবে। পাশাপাশি শ্মশানঘাটটিরও সংস্কারসহ ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে সহায়ক হবে। বর্তমান কমিটির সভাপতি সুশান্ত সাহা, সাধারণ সম্পাদক ভৈরব সাহা ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে প্রান্ত সাহা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা জানান, এ মন্দিরে এবার ৩১তম দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে ভক্ত অনুরাগীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ঘেঁষা বাজারের ড্রেন বিধস্ত হওয়ায় পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে সয়লাব থাকে। যা পূজারী ও ভক্ত-অনুরাগীদের পবিত্রতার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে তারা নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা ব্যক্তিগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।