জুলাই বিপ্লব'২০২৪ এর সকল শহীদদের স্মরণে 'বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ'-এর উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে 'মেহফিল-ই ইনকিলাব' ব্যানারে সাংস্কৃতিক ও কাওয়ালী সন্ধ্যা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আর দীন মুক্তমঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
সাংস্কৃতিক ও কাওয়ালী অনুষ্ঠানটি তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ' দর্শকদের মাতিয়ে তোলে। দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন বিপ্লবী গান ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
তৃতীয ও শেষ পর্বে ঢাকার 'ওয়ান এম্পায়ার' টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে কাওয়ালী পরিবেশন করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। এ সময়ে উপস্থিত দর্শকদের উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের বহু মতের মানুষ মিলেই আমরা একটা পরিবার। আজকের এ অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীতেন দিয়ে শুরু হয়ে, বিভিন্ন প্রকার গান, আবৃত্তি হয়েছে। ফলে আমি মনে করছি আমাদের মধ্যে সৌহার্দ আরো বৃদ্ধি পাবে।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল নকিব বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠানটি গেলো আন্দোলনের প্রথম, আমি আমার পরিবারসহ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছে। আমরা আশা করছি যে বিশ্ববিদ্যালয় এরকম বিচিত্র সংস্কৃতির অনুষ্ঠান চালু থাকবে।
সন্ধ্যার আয়োজন নিয়ে 'বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ' এর অন্যতম সদস্য আহসান লাবিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্বরণে আমাদের এই আয়োজন। পাশাপাশি আমরা দেখেছি গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার আমাদের নজরুলের যে কাওয়ালী সংস্কৃতি সেটাকে দমন করে রেখেছিলো। আমরা আমাদের সুস্থ সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে চাই। সংস্কৃতি চর্চার স্বাধীনতা উপভোগ করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচার সরকার সুস্থধারার সংস্কৃতি এবং দেশীয় সংস্কৃতি নজরুল সঙ্গীতকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে যেহেতু বর্তমানে স্বৈরাচার সরকার থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছে তাই আমরা চেষ্টা করতেছি বিভিন্ন ধারার সুস্থ সংস্কৃতি কে প্রতিষ্ঠা করতে এবং আশা করি দেশের সর্বত্র এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়বে ও প্রতিষ্ঠা হবে এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ হবে ।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জাহিদ ইসলামের সঞ্চালনায় কাওয়ালী সন্ধ্যা অনুষ্ঠানটি পরিবেশিত হয়।