দীর্ঘ ২০ বছর পর ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ভোটাররা। আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে বহুল আলোচিত এই পৌরসভায়। আসন্ন নির্বাচনে ফের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল।
মেয়র তার নিজস্ব লোক দিয়ে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করে হাইকোর্টে সীমানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট করান। এর মধ্যে সাইফুজ্জামান ও শাহিনুর রহমান নামে দু’জন বাদী এফিডেভিটের মাধ্যমে রিট মামলা না চালানোর ঘোষণা দেন। অপরজন শাহাদত হোসেন মারা গেছেন। শুধুমাত্র মেয়রের কারণে এই পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছিল না বলে স্থানীয়রা জানান।
নির্বাচনের দাবিতে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঝিকরগাছা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা এ.কে.এম আমানুল কাদির টুলু বলেন, ২০০১ সালের ২ এপ্রিল ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ মে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী শপথ গ্রহণের পর থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।
শনিবার বিকেল ৪টায় দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে দলের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মূলতবি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় ঝিকরগাছাসহ চারটি পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জন্য দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়। আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন। ১৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ডিসেম্বর।
অবশেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় পৌরবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।