ঢাকা, রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

ঝিনাইদহের গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা, চলাচলকারীদের ভোগান্তি চরমে

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঝিনাইদহের গ্রামীন সড়কগুলোর বেহাল দশায়, প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাচ্ছে চলাচলকারীরা। সড়কগুলোতে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের, ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন সড়ক সংস্কার না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে চলাচলকারী যাত্রী সাধারনের। দ্রুত সড়ক সংস্কার করার আশ^াস সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তার।
দীর্ঘদিন সড়ক সংষ্কার আর মেরামত না করায় উঠে গেছে পিচ, তৈরি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। ঝিনাইদহ- নারিকেলবাড়িয়া গ্রামীন সড়কের দৃশ্য এটি। প্রতিদিন সদরের ৮টি ইউনিয়ন ও পাশ^বর্তী মাগুরা জেলার কয়েক হাজার মানুষের চলাচল এই সড়কে। জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটির বেহাল দশা হওয়ায়, ভোগান্তি চরমে উঠেছে চলাচলকারীদের।
একই অবস্থা শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ-পান্টি গ্রামীন সড়কের। দীর্ঘ ১৫ বছর করা হয় না মেরামত ও সংস্কার। ফলে সড়কের বেশিরভাগ স্থানে উঠে গেছে পিচ, তৈরি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। যে কারনে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ দুটি সড়কই নয় এমন বেহাল দশা জেলার বিভিন্ন গ্রামীন সড়কের। গ্রামীন সড়কের সাথে মহা-সড়কের সংযোগ হওয়ায় এই সড়কগুলোতে চলাচলকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসমস্ত সড়কে চলাচলকারী মানুষদের। দ্রুত সড়ক সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি যাত্রী সাধারনের।

ভ্যান চালক আজিম আলী জানান, দীর্ঘদিন সড়ক সংষ্কার না করায় উঠে গেছে পিচ, তৈরি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। এজন্যে আমাদের প্রতিনিয়তই পোহাতে হয় সিমাহীন দুর্ভোগ। প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে আমাদের উপার্জনের একমাত্র বাহন। তাই আমার দাবী দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করার হোক।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার করা হলেও আবারো তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তাই দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করার দাবী তার।

ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন জানান, পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে টেন্ডার হলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে গতানুগতিক আশ^াস দিলেন এই কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ এলজিইডি’র দেওয়া তথ্যমতে ৬ উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৬ শত ৪৬.১০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৮ শত ৮০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭ শত ৬৬.১০ কিলোমিটার।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫ শত ১৬.৫০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৭ শত ৫০.৯০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ৭ শত ৬৫.৬০ কিলোমিটার।
হরিণাকুন্ডু উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ৫ শত ২৩.৬০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৩ শত ৪৭.২০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ১ শত ৭৬.৪০ কিলোমিটার।
কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ৮ শত ৯০.৯০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৪ শত ৮৬ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ৪ শত ৪.৯০ কিলোমিটার।
কোটচাঁদপুর উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ৪ শত ৪২.৯০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ১ শত ৪৫.৫০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ২ শত ৯৭.৪০ কিলোমিটার।
মহেশপুর উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১ শত ৫৩.৩০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৪ শত ৭৩.১০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ৬ শত ৪০.২০ কিলোমিটার।
ও শৈলকুপা উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১ শত ১৮.৮০ কিলোমিটার। পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৬ শত ৪.১০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ৫ শত ১৪.৭০ কিলোমিটার।