ঢাকা, শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে গৃহবধূকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২১ অক্টোবর ২০২৩ ০২:০৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জমিলা খাতুন উজলা (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আব্দুল করিম (৪০) নামের এক প্রতিবেশীও গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোরে নিজ বাড়ির নলকূপের পাশে এই ঘটনা ঘটে। 
 
পরিবারের দাবি, উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী তাকে হত্যা করেছে। আর পুলিশ বলছে, পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও ছেলে আব্দুল মান্নান এবং জাকির নামে স্থানীয় একজনকে আটক করেছে। আহত আব্দুল করিম যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
 
নিহত নারীর স্বজনদের ভাষ্য, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে জমিলা খাতুন ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যান। এ সময় প্রতিবেশী আবদুল করিম তাকে উত্যক্ত করে। এর জের ধরে জমিলা খাতুন পাশে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুল করিমের গলায় আঘাত করেন বলে ধারণা তাঁদের। তখন আবদুল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে জমিলা খাতুনকে গলাকেটে ফেলে রেখে যান। ঘটনার পর আবদুল করিম দৌড়ে পাশের বাড়ির দিকে গেলে প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
 
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, জমিলা খাতুনের সঙ্গে আব্দুল করিমের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। ভোরে আব্দুল করিম ওই বাড়িতে যান। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। 
 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমিলা খাতুনের বাড়িতে প্রতিবেশী আব্দুল করিমের যাতায়াত ছিল। সকালে ওই বাড়িতে এসেছিলেন আব্দুল করিম। এ সময় ওই নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর পায়েও কোপানো হয়েছে। সঙ্গে আব্দুল করিমের গলাও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। পরকীয়ার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
 
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহত আব্দুল করিম জানিয়েছেন, তাদের দুজনকে দেখতে পায় জমিলার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী জাকির। পরে তারা জমিলাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তাকেও কুপিয়ে আহত করেছে। 
 
এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।