টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভা এলাকার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ ঠেকানো গেল না। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্মিত পাকা সড়কটি ভেঙ্গে ফেলার ৬ মাস পর আবার নির্মাণ কাজ শেষ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ঈদুল ফিতরের আগের দিন সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন তারা এ বিষয়ে অবগত নন।
বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণের বিষয়টি গত বছরের (২৯ জুলাই) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেণ। লিখিত পত্রে তিনি উল্লেখ করেন- কোন প্রকার অনুমতি এবং সম্মতি ছাড়াই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও লিখিতভাবে অবগত করা হয়।
পরবর্তীতে গত (২৫ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম সড়কটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে অপসারণের জন্য তৎকালীন পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহিদকে পত্র মারফত নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। পত্র প্রাপ্তির পর নির্ধারিত সময়ের পরে গত (১৪ নভেম্বর) তৎকালীন মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহিদ সড়কটি অপসারণ করেন। সড়কটি অপসারণের ৬ মাসের মাথায় পৌর প্রশাসনের সহায়তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটি আবারও নির্মাণ করেছেন।
ঘাটাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, তড়িঘড়ি করে ঈদের আগের দিন পুণরায় সড়কটির কাজ শেষ করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে সড়ক পুণঃনির্মাণ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক নির্মাণের বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই।
সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদার কাজী নাসিম বলেন, বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আগে রাস্তাটি দেড়ফুট উঁচু করে করা হয়েছিল এবার মাঠ সমান নিচু করে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিয়া চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। স্কুল মাঠ থেকে অবশ্যই সড়কটি অপসারণ করা হবে।