টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে এক নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লুৎফুর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান। এরআগে সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার পাকুল্লা এলাকা থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত লুৎফুর রহমান উপজেলার ছিতেশ্বরী গ্রামের মইনুল হকের ছেলে। তিনি একটি প্রাইভেট ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার জানান, লুৎফুর রহমান একটি প্রাইভেট ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তিনি এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে লুৎফর ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং গোপনে ভিডিও ও ছবি ধারণ করে। পরবর্তীতে লৎফুর ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিও ও ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমের ভাষ্যমতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন। লুৎফুর সব সময় ভিকটিমকে মানসিক চাপে রাখতো। এ অবস্থায় ওই নারী নিরুপায় হয়ে সম্প্রতি টাঙ্গাইল র্যাব অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। সোমবার রাতে অভিযুক্ত লুৎফুরকে আটক করা হয়। এ সময় ধারণকৃত ভিডিওসহ একটি মোটরসাইকেল, মোবাইলফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
অভিযুক্ত লুৎফুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।