ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বইছে ঢাকাসহ সারা দেশে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের (সাউদিয়া) একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণে ব্যর্থ হয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এছাড়া সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে সিলেটে অবতরণ করেছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সাউদিয়ার এসভি-৮৮৩ ফ্লাইটটি সকালে গুয়াঞ্জু থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। বিকেলে ঢাকার আকাশে বেশ কয়েকটি চক্কর দিয়ে নামতে পারেনি। পরে ফ্লাইটটি মিয়ানমারে গিয়ে অবতরণ করে। টরন্টো ও দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটও ঢাকায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পর সিলেটে অবতরণ করে।
এছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর থেকে এসে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে সিলেটে গিয়ে অবতরণ করে। তাদের চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটিও গেছে সিলেটে।
তবে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইট চলাচল সেখানে স্বাভাবিক আছে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কয়েকটি এয়ারলাইন্সের পাইলটের সিদ্ধান্তে সেগুলো আশপাশের বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করা হয়েছে। আমরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ারের প্রায় ৬০টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম রুটের ১০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এছাড়া বিমানের শারজাহ, আবুধাবি, দুবাই ও মাস্কাট রুটের ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
আর বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ২৮টি এবং নভোএয়ারের ২২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার বিকেল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপর পর্যন্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশালের নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’