নির্বাচনী সহিংসতায় আহত দুজন মারা গেলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে। মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তির গুলিতে ডালিম সরকার (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগের সমর্থক আহত হন, অপরদিকে পিরোজপুরে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) নামে আরেক এমপি প্রার্থীর সমর্থক হন।
আহতদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দুজনরই মৃত্যু হয়।
নিহত ডালিম সরকার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীকান্দি গ্রামের নূর হোসেন সরকারের ছেলে। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নিহত ডালিমের নানা শ্বশুর মো. কামাল কাজী জানান, বুধবার স্থানীয় নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের জনসভায় যান ডালিম। সেখান থেকে ফিরে নিজ এলাকাতেও রাতে নৌকার মিছিল করেন। এরপর রাত ১২টার দিকে ডালিম, মুন্না, সোহেল ও কাদের মিলে রাস্তার পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় প্রতিপক্ষের ২০-২৫ জনের এক দল যুবক এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ডালিমের পাঁজরের বাম পাশে দুটি এবং সোহেলের একটি গুলি লাগে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে আজ (৪ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ডালিম পেশায় একজন কৃষক, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে
এদিকে নিহত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই মোজাম্মেল হক জানান, তাদের বাড়ি পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামে। বাবার নাম তোতাম্বর। মেরুখালী ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর। স্থানীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.শামীম শাহনেওয়াজ (কলারছড়ি) এর সমর্থক জাহাঙ্গীর। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। তখন প্রতিপক্ষের সমর্থকরা পিছন থেকে তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
আহত অবস্থায় তাকে মঠবাড়িয়া সদর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কয়টি হাসপাতাল ঘুরে তাকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসকৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। শাহবাগ থানা পুলিশ তাদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করবে। তবে পিরোজপুর ও মুন্সীগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন হাসপাতালে মারা গেছে একজন গুলিতে একজন ধারালো অস্ত্র আঘাতে।