ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইন্সটিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা

পিরোজপুর প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৪:০০ অপরাহ্ন | বরিশাল
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইষ্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের সমন্বয় মিটিংয়ে ১২ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা নাসিং ইষ্টিটিউট এর ইনচার্জ বেবী রানী রায়, অফিস সহকারী কাম কম্পউটার অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ, হিসাব রক্ষক শিল্পি রানী ও হোস্টেল হাউজ কিপার তাহরিমা পদত্যাগের দাবীতে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
 
এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, তিনজন কর্মকর্তা মিলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে জেলা নাসিং ইন্সটিটিউটের পরিবেশ নষ্ট করছে। পিরোজপুর জেলা নাসিং ইন্সটিটিউটের ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র ত্রুটি দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন অফিস সহকারী কাম কম্পউটার অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ, হিসাব রক্ষক শিল্পি রানী এবং হোস্টোল হাউজ কিপার তাহরিমা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ট্রান্সফারের সময়ে ইচ্ছে মত টাকা দাবি করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেন। এছাড়াও চুক্তিভিক্তিক অফিস সহায়কদের স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ৫০০শ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে তারা। এছাড়াও নাসিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তারা লোপাট করার অভিযোগ আছে।
 
জেলা নাসিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জানান, নানা অভিযোগে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে হবে। ভর্তির সময়ে শেষের দিকে তরিগরি করে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র দিতে বলে এবং সেখানে ত্রুটি ধরে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। আমাদের রান্নার দায়িত্বে থাকা লোকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রেও তারা অনেক টাকা দাবী করে। আমরা কোন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের এ প্রতিষ্ঠানে দেখতে চাইনা।
 
শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ, হিসাব রক্ষক শিল্পি রানী ও হোস্টেল হাউজ কিপার তাহরিমা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে। বারবার অভিযোগ করলেও অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমরা অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই।
 
অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ল অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ বলেন, একমাস আগে একটি মিটিং হয়েছিলো। এরপরে আমরা সময় দিতে পারি নাই। তবে আমরা এখন মিটিংয়ে বলেছি যে যারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের অভিযোগ যৌক্তিক হলে আমরা তাদের টাকা ফেরত দিবো।
 
জেলা নাসিং ইষ্টিটিউটের ইনচার্জ বেবী রানী রায় জানান, একমাস আগে আমরা একটি মিটিং করেছিলাম। তবে নানা কারনে আমরা এ বিষয়ে বসতে পারিনি। আজকে ওরা যখন আমাকে বলেছে সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। তখন আমি শিক্ষার্থীদের সাথে মিটিং বসি। ওরা কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অফিশিয়ালী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।